1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

বড়লেখা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২২
  • ৩২০ বার পঠিত

বড়লেখা প্রতিনিধি :: বড়লেখা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে সরকারি জলমহালে অবৈধ সেচকার্যে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার সহিদ আহমদসহ ভুক্তভোগীরা তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে জেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়থল গ্রামের বড় ঝালাই গ্রæপ (বদ্ধ) জলাশয়ের ইজারাদার সমিতি গত কয়েক দিন আগে বিধি বহির্ভুতভাবে ৩/৪টি পানির মেশিন বসিয়ে জলমহালটি শুকাতে থাকে। এ জলাশয়ের পানির ওপর আশপাশের বাসিন্দারা নির্ভরশীল। মেশিন বসিয়ে শুকিয়ে ফেলার অপচেষ্টায় ইজারাদারের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী ইউএনও বরাবরে অভিযোগ দেন। এর প্রেক্ষিতে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে বিলে চলমান সেচযন্ত্র বন্ধ করে ফিরে যান। কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ইজারাদারের লোকজন পুনরায় পানি সেচ শুরু করে। উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের নির্দেশে গত ২২ এপ্রিল মৎস্য কর্মকর্তা পুনরায় ঘটনাস্থলে গিয়ে সেচকাজে নিয়োজিত ৩টি পানির পাম্প জব্দ করেন। নিয়মানুযায়ী তিনি সেচযন্ত্রগুলো জব্দ করে উপজেলা প্রশাসনে জমা দিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন। কিন্তু তা না করে অভিযুক্তদের সাথে আঁতাত করে তিনি মেশিনগুলো স্থানীয় ইউপি কার্যালয়ে দিয়ে যান। এদিকে ইজারাদার সমিতির সভাপতি আনোয়ার আলী অবৈধ বিল সেচের প্রতিবাদকারীদের আসামি করে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, এর আগেও তিনি হাকালুকির রঞ্চি বিল থেকে সেচ মেশিন জব্দ করলেও গোপন আঁতাতোর কারণে অভিযুক্তরা পার পেয়ে যায়। শুষ্ক মৌসুমে হাকালুকি হাওড়ের সরকারি জলাশয় ও বিল অবৈধভাবে শুকিয়ে অবাধে মাছ ধরা হয়। খবর দেয়া স্বত্তে¡ও তিনি দোষীদের বিরুদ্ধে কোন ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তার বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন তদন্ত প্রতিবেদন পাল্টে দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, ইউএনও ও এসিল্যান্ডের নির্দেশনা মোতাবেক ওই জলাশয় থেকে তিনি ৩টি সেচ মেশিন জব্দ করে স্থানীয় ইউপি কার্যালয়ে জমা রেখেছেন। দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিধি বহির্ভূত কোন কাজে তিনি জড়িত নন।

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..